আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকায় লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ওই দেশে গিয়ে পাসপোর্টসংক্রান্ত নানা সেবা দিতে হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন সরকারের টাকা অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কর্কে এ সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের বাংলাদেশ সরকারের কাছে দ্রুত দূতাবাস চালুর দাবি জানিয়েছেন আয়ারল্যান্ডে অবস্থানকারী বাংলাদেশিরা।

দূতাবাস স্থাপনের জন্য আন্তর্জাতিক আইনে যত হাজার অভিবাসী থাকা দরকার, সে সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি বাংলাদেশির বসবাস আয়ারল্যান্ডে। এখানকার প্রবাসীদের পাসপোর্টসংক্রান্ত যেকোনো কাজের জন্য যেতে হয় লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে।

এ-সংক্রান্ত কাজের জন্য প্রতিবছর দু-তিনবার, কখনো কখনো তার চেয়েও বেশি আয়ারল্যান্ডে আসতে হয় লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তাদের। এতে একদিকে যেমন বাংলাদেশ সরকারের টাকা গচ্চা যাচ্ছে, অপরদিকে প্রবাসীরাও দীর্ঘসূত্রতাসহ নানা সমস্যায় পড়ছেন।

দেশটির বিভিন্ন স্থান থেকে কর্ক শহরে আসা বাংলাদেশিরা পাসপোর্ট সেবা নিতে গিয়ে, একটি দূতাবাস স্থাপনের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।

দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিস থাকলে যেমন ব্যবসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে, তেমনি শ্রমবাজারেও ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে জানান প্রবাসীরা।

প্রবাসীরা বলেন, প্রতিবছর ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান থেকে স্টুডেন্ট ভিসাসহ নানা ভিসায় আয়ারল্যান্ডে প্রবেশের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাস না থাকায় পিছিয়ে পড়ছেন বাংলাদেশিরা।

 

 

কলমকথা/ বিথী